Varietal Development
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ
১। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে প্রতিকূল ও অপ্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১০৬টি (৯৯টি ইনব্রিড ও ৭টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।
তম্মধ্যেঃ
২। উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ অজৈব ঘাত সহনশীল যেমন লবণাক্ততা, বন্যা, খরা, শৈতপ্রবাহ ইত্যাদি সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে।
৩। অত্র বিভাগ কর্তৃক লবণাক্ততা সহনশীল বোরো মওসুমের জন্য ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান৬১ এবং ব্রি ধান৬৭ আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে যা চারা অবস্থায় ১২-১৪ ডিএস/মি. এবং সম্পূর্ণ জীবনচক্রে ৬-৮ ডিএস/মি. লবণাক্ততা সহনশীল। বোরো মওসুমের জন্য লবণাক্ততা সহনশীল নতুন ২টি জাত ব্রি ধান৯৭ এবং ব্রি ধান৯৯ উদ্ভাবন করা হয়েছে যা চারা অবস্থায় ১৪ ডিএস/মি. এবং সম্পূর্ণ জীবনচক্রে ৮-১০ ডিএস/মি. লবণাক্ততা সহনশীল। তাছাড়া, ব্রি ধান৪০, ব্রি ধান৪১, ব্রি ধান৫৩, ব্রি ধান৫৪ এবং ব্রি ধান৭৩ এই জাতগুলো আমন মওসুমে প্রজনন পর্যায়ে ৮ ডিএস/মি. লবণাক্ততা সহনশীল।
৪। তিনটি বন্যা সহনশীল ধানের জাত যথা ব্রি ধান৫১, ব্রি ধান৫২ এবং ব্রি ধান৭৯ উদ্ভাবন করা হয়েছে যা দুই-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বন্যা সহনশীল।
৫। ৪টি খরা সহনশীল আমন ধানের জাত যথা ব্রি ধান৫৬, ব্রি ধান৫৭, ব্রি ধান৬৬, ব্রি ধান৭১ উদ্ভাবন করা হয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের খরাপ্রবণ অঞ্চলের জন্য খুবই উপযোগী।
৬। রোপা আমন মওসুমের জন্য দুটি জিংক সমৃদ্ধ জাত ব্রি ধান৬২ এবং ব্রি ধান৭২ (স্বল্প জীবনকাল) উদ্ভাবন করা হয়েছে যেগুলো যথাক্রমে ২০ এবং ২২.৮ পিপিএম মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ। বোরো মওসুমের জন্য ব্রি ধান৬৪, ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৪ এবং ব্রি ধান১০০ উদ্ভাবন করা হয়েছে যেগুলো যথাক্রমে ২৫.৫, ২৪.২, ২৭.৬, ২৫.৭ পিপিএম মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ।
৭। ব্রি ধান৫০ যার জনপ্রিয় নাম বাংলামতি (বাসমতীর ন্যায়) এবং ব্রি ধান৬৩ (সরু বালামের ন্যায়), এই দুইটি প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্যের ধানের জাত অনুকূল বোরো মওসুমের জন্য উপযোগী।
৮। উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ Marker Assisted Breeding পদ্ধতি প্রয়োগ করে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতসমূহের মধ্যে বিভিন্ন ঘাত যেমন বন্যা, লবণাক্ততা, ঠান্ডা সহনশীল এবং রোগ প্রতিরোধী জিন প্রবেশ করিয়ে ঘাত সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে সফলতা লাভ করেছে।
৯। আধুনিক ধানের জাত যেমন বিআর১৭, বিআর১৮, বিআর১৯ হাওড় এলাকার বোরো মওসুমের জন্য অধিক উপযোগী। তাছাড়া বিআর১৮, ব্রি ধান৩৬, ব্রি ধান৫৫ এবং ব্রি ধান৬৯ চারা অবস্থায় ঠান্ডা সহনশীল হওয়ায় ঠান্ডা প্রবণ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য উপযোগী।
১০। বিআর২১, বিআর২৪, ব্রি ধান২৭ এবং ব্রি ধান৬৫ বৃষ্টিবহুল এলাকায় বোনা আউশ হিসেবে চাষের উপযোগী। বোনা আউশের জাত ব্রি ধান৬৫ এর ফলন ক্ষমতা ব্রিধান ৪৩ থেকে ০.৫ টন/হে. বেশী। এ জাতটির চারা অবস্থায় আগাছার সাথে প্রতিযোগিতা করে বেড়ে ওঠার ক্ষমতা ব্রি ধান৪৩ থেকে বেশী।
১১। ব্রি ধান৪২, ব্রি ধান৪৩ এবং ব্রি ধান৮৩ খরা-প্রবণ এলাকায় বোনা আউশ হিসেবে চাষের উপযোগী। ব্রি ধান৮৩ বোনা আউশ মওসুমে চারা অবস্থায় মধ্যম মাত্রার খরা সহনশীল ধানের জাত। এ জাতের দানার রং স্থানীয় কটকতারা জাতের মতো লালচে। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ব্রিধান ৮৩ চাষে হেক্টর প্রতি ৪.০ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। বিশেষ করে ব্রি ধান৮৩-এর ফলন ব্রিধান ৪৩ এর চেয়ে কমপক্ষে ১.০টন/হেক্টর বেশী এবং সরাসরি বপনযোগ্য বোনা আউশের জাত বিধায় এ জাতটি চাষ করলে দেশের দক্ষিণ অঞ্চল যেমন নোয়াখালী, ফেনী ও চরাঞ্চলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
১২। বিআর২৬, ব্রি ধান৪৮, ব্রি ধান৫৫, ব্রি ধান৮২ এবং ব্রি ধান৯৮ সাধারণ রোপা আউশ এলাকায় চাষের উপযোগী। রোপা আউশ মওসুমের জাত ব্রি ধান৫৫, ব্রি ধান২৭ খেকে ১০ দিন আগাম এবং হেক্টর প্রতি প্রায় ১ টন ফলন বেশী দেয়। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ব্রি ধান৫৫ আউশ মওসুমে ৫.০টন/হে. ফলন দিতে সক্ষম। ব্রি ধান৮২ NERICA-10 থেকে বিশুদ্ধ সারি নির্বাচন পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত রোপা আউশ মওসুমের স্বল্প জীবনকালীন ধানের জাত। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ব্রি ধান৮২ থেকে হেক্টরে ৪.৫-৫.৫ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। ব্রি ধান৮২-এর জীবনকাল রোপা আউশ মওসুমের ব্রি ধান৪৮ এর চেয়ে ৪-৫ দিন কম। এ জাতটির জীবনকাল স্বল্প মেয়াদী হওয়ায় রোপা আউশ মওসুমে এ ধান আবাদ করার পর আমন ধান আবাদের সুযোগ তৈরি হবে। ব্রি ধান৯৮ রোপা আউশ মওসুমে চাষ উপযোগী জাত। এর ফলন প্রতি হেক্টরে ৫.০ থেকে ৫.৮ টন। এর দানা লম্বা ও রং সোনালী। এ জাতের জীবনকাল ১১২ দিন যা রোপা আউশ মওসুমের জাত বিআর২৬ এর সমান। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ২২.৬ গ্রাম। ধানের দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৭.৯ ভাগ এবং প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৯.৫ ভাগ। ভাত ঝরঝরে।
১৩। ব্রি ধান২৭ বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে রোপা আউশ মওসুমে চাষাবাদযোগ্য। রোপা আউশ মওসুমের জনপ্রিয় উচ্চফলনশীল ধানের জাত ব্রি ধান৪৮ যার ফলন ক্ষমতা ৫.৫ টন/হে. এবং গড় জীবনকাল ১১০ দিন। ব্রি ধান৮৫ রোপা আউশ মওসুমে কুমিল্লা অঞ্চলের জন্য উদ্ভাবিত জাত। এ জাতের ফলন ক্ষমতা ৪.৫-৫.৫ টন/হেক্টর। ব্রি ধান৮৫ কিছুটা জলাবদ্ধতা সহনশীল হওয়ায় এ জাতটি আউশ মওসুমে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাতে বিশেষত: কুমিল্লা অঞ্চলসহ দেশের পূর্বাঞ্চলে চাষাবাদের জন্য।
১৪। আলোক-সংবেদনশীল বিআর২২, বিআর২৩ এবং ব্রি ধান৪৬ নাবী রোপা আমন মওসুমে বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর এই জাতগুলো অধিক উপযোগী।
১৫। রোপা আমন মওসুমের অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের জন্য ব্রি ধান৪৪, ব্রি ধান৫২, ব্রি ধান৭৬ এবং ব্রি ধান৭৭ উদ্ভাবন করা হয়েছে।
১৬। বিআর২৫, ব্রিধান৩২, ব্রিধান৩৩, ব্রিধান৩৯, ব্রিধান৭৫ জাতগুলোতে আলোক-সংবেদনশীলতা নেই।আলোক-সংবেদনশীলতা না থাকার জন্য এ জাতগুলো কৃষক তার ইচ্ছামতো যেদিন ফসল কাটতে ইচ্ছুক সেদিনেই তা পারেন। ব্রি ধান৭৫ রোপা আমন মওসুমের উচ্চফলনশীল আগাম ধানের জাত এবং এর গড় ফলন ৫.০টন/হে.। ব্রি ধান৭৫-এর ভাত রান্না করলে হালকা সুগন্ধ পাওয়া যায়।
১৭। বৃষ্টি নির্ভর নিম্নভূমি অঞ্চলের জন্য বিআর১০, ব্রি ধান৩০ এবং ব্রি ধান৩১ উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ জাতগুলো স্বল্প আলোক-সংবেদনশীল এবং ফলন ক্ষমতা হেক্টর প্রতি ৫.০-৬.০টন। এছাড়া বিআর১০, বিআর২৩ এবং ব্রি ধান৩০ জাতগুলো বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের জলাবদ্ধ অঞ্চলের জন্য অধিক উপযোগী।
১৮। রোপা আমন মওসুমের নাজিরশাইলের ন্যায় দানা বিশিষ্ট জাত ব্রি ধান৪৯, যা বিআর১১ এর তুলনায় এক সপ্তাহ আগাম এবং ফলন ক্ষমতা ৫.৫ টন/হে.।
১৯। ব্রি ধান৫৫ মধ্যম মাত্রার ঠান্ডা, লবণাক্ততা ও খরা সহিষ্ণু। বোরো মওসুমে যেখানে মধ্যম মানের লবণাক্ততা (৮-১০ ডিএস/মি), খরা এবং ঠান্ডা সমস্যা দেখা যায় সেখানেও এ জাতটি আবাদের জন্য উপযুক্ত। এ ধানের জাতটি বোরো মওসুমে ব্রি ধান২৮ খেকে ৫ দিন নাবী এবং হেক্টর প্রতি প্রায় ১ টন ফলন বেশী দেয়।
২০। বোরো মওসুমের জন্য উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত ব্রি ধান৫৮, ব্রি ধান৫৯ এবং ব্রি ধান৬০ উদ্ভাবন করা হয়েছে। ব্রি ধান৫৮ সর্বপ্রথম জাত যা ব্রি ধান২৯ হতে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি বোরো মওসুমের জাত যা ব্রি ধান২৯-এর চেয়ে ৭-১০ দিন আগাম কিন্তু ব্রি ধান২৮-এর চেয়ে এক সপ্তাহ নাবী। জীবন কাল ১৫০-১৫৫ দিন। ফলন ক্ষমতা ৭.০-৮.০ টন/হে.। আলু কাটার পরে নাবী বোরো এবং দক্ষিণাঞ্চলের ঘেরের মধ্যে চাষে বিশেষ উপযোগী।
২১। ব্রি ধান৫৯ এবং ব্রি ধান৬০ দুটি আধুনিক ধানের জাতের জীবনকাল ব্রি ধান২৮ এবং ব্রি ধান২৯ এর মাঝামাঝি এবং ফলন ক্ষমতা ৭.১-৭.৩ টন/হে.। ব্রি ধান৬০ এর দানার আকার অতিরিক্ত লম্বা ও চিকন।
২২। ব্রি ধান৬৮ অনুকূল বোরো মওসুমের জন্য উদ্ভাবন করা হয়েছে যার চাল মাঝারি মোটা, হেলে পড়া সহনশীল এবং ব্রি ধান২৮ এর চেয়ে ১৩% অধিক ফলন দেয় কিন্তু এটা ব্রি ধান২৮ এর চেয়ে এক সপ্তাহ বেশি জীবনকাল সম্পন্ন। ব্রি ধান৬৯ উপকরণ সাশ্রয়ী বোরো মওসুমের উচ্চ ফলনশীল জাত যা ৭.০ টনের অধিক ফলন দেয়। উল্লেখ্য যে, ব্রি ধান৬৯ প্রজনন পর্যায়ে মাঝারি মানের ঠান্ডা সহ্য করতে পারে।
২৩। ব্রি ধান৭০ এবং ব্রি ধান৮০ লম্বা চিকন সুগন্ধি ধানের জাত যা রোপা আমন মওসুমের জন্য স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট (১৩০ দিন) এবং ফলন ক্ষমতা ৫.০ টন/হেক্টর ।
২৪। ব্রি ধান৭৮ আমন মওসুমের উপযোগী বন্যা ও লবণাক্ততা সহনশীল ধানের জাত। এটির জীবনকাল ১৩৩ থেকে ১৩৬ দিন, ফলন ক্ষমতা ৫.৫ থেকে ৬.০টন/হে.।
২৫। ব্রি ধান৮১ জাতের জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন এবং ফলন ক্ষমতা হেক্টরে ৬.০-৬.৫টন। উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ (১০.৩%)। এ জাতটি সুগন্ধ ব্যতীত প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। চালের আকার ও আকৃতি বাসমতির মত লম্বা ও চিকন থাকায় বিদেশে রপ্তানীযোগ্য। এছাড়া চালের আকৃতি জিরার ধানের মতো বিধায় জাতটি দেশীয় বাজারে জিরা ধানের বিকল্প হিসাবে গ্রহণ যোগ্যতা পাবে। ব্রি ধান৮৮ জাতের জীবনকাল ১৪০-১৪৩ দিন এবং ফলন ক্ষমতা ৭.০টন/হে.। স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন বোরো ধানের জাত হিসেবে বিশেষভাবে উপযোগী।
২৬। ব্রি ধান৯০ রোপা আসন মওসুমের উচ্চ ফলনশীল প্রিমিয়াম কোয়ালিটি আধুনিক ধানের জাত। এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ধানের দানার আকার-আকৃতি ব্রি ধান৩৪ এর মতো। এ জাতের গড় ফলন ৫.০ টন এবং গড় জীবন কাল ১২২ দিন। ব্রি ধান৯০ এর জীবনকাল ব্রি ধান৩৪ এর চাইতে ২১ দিন আগাম এবং ফলন প্রায় ১.০-১.৪ টন/হে. বেশি। এ জাতের চাল থেকে উন্নতমানের পোলাউ, পায়েস রান্না করা যায়।
২৭। ব্রি ধান৯১ জলি আমন ধানের জাত ও অগভীর পানিতে চাষের উপযোগী। এ জাতটি স্বল্প আলোক-সংবেদনশীল। গড় জীবনকাল ১৫৬ দিন। স্থানীয় জলি আমন ধানের জাতের চেয়ে ১০-১৫ দিন আগাম। এ জাতটির গড় ফলন ৩.০টন/হে.। এ জাতটি ১ মিটার উচ্চতার গভীর পানির বন্যা অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
২৮। ব্রি ধান৯৩ ও ব্রি ধান৯৪ রোপা আমন মওসুমের উচ্চফলনশীল ১৩৪ দিনের মাঝারি জীবনকাল সম্পন্ন ধানের জাত। এ জাত দুইটির গড় ফলন ৫.৮টন/হে.। ব্রি ধান৯৫ রোপা আমন মৌসুমের উচ্চফলনশীল ১২৫ দিন জীবনকালসম্পন্ন আগাম ধানের জাত। গড় ফলন ৫.৭টন/হে.। ব্রি ধান৯৩, ব্রি ধান৯৪ এবং ব্রি ধান৯৫ জাতগুলো উচ্চফলনশীল এবং স্বর্ণা জাতের ন্যায় গুণাগুণ এবং অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায় ভারতীয় স্বর্ণা জাতের বিকল্প হিসাবে চাষাবাদযোগ্য।
২৯। অত্র বিভাগের বিজ্ঞানীগণ দক্ষ জনসম্পদ তৈরির অংশ হিসেবে মাস্টার্স ও পিএইচডি ছাত্র-ছাত্রীদের সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং আধুনিক ধানের জাত ও প্রজনন পদ্ধতির বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, কৃষকগণ, NARS এবং বিদেশী বিজ্ঞানীবৃন্দ, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবং NGO কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন।
৩০। অত্র বিভাগ কর্তৃক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র, বার্ষিক প্রতিবেদন, গবেষণা পুস্তিকা, অবমুক্ত জাতসমূহের লিফলেট ও বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
Biotechnology Division
কৌলিসম্পদ ও বীজ বিভাগ ব্রি’র জাত উদ্ভাবন প্রোগ্রাম এরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিভাগের ম্যান্ডেট হলো ধানের জাত উদ্ভাবন, জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং সীড টেকনোলজি রিসার্চ। জার্মপ্লাজম ম্যানেজমেন্ট এই বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা যেকোনো গবেষণার মূল উপাত্ত। এছাড়াও এই বিভাগ মানসম্মত ব্রিডার বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে ব্রি’র এপিএ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এই বিভাগের উল্লেখযোগ্য অর্জনগূলো নিম্নরুপঃ
১. এই বিভাগ হতে একটি সুগন্ধী ধানের জাত (খাসকানি নামক জার্মপ্লাজম থেকে ব্রি ধান ৩৪) অবমুক্ত করা হয়েছে।
২. ২০০৭ সালে দীর্ঘমেয়াদী জিন ব্যাংক (২০০০ সিএফটি ভলিউম) স্থাপন করা হয়। যাতে প্রায় ২,০০০ জার্মপ্লাজম ৫০-১০০ বছর সংরক্ষণ করার সুবিধা রয়েছে।
৩. জিআরএস বিভাগের জিনব্যাংকে ৮৬০৪ (আট হাজার) এর অধিক জার্মপ্লাজম স্বল্প মেয়াদ, মধ্যম মেয়াদ এবং দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষিত আছে।
৪. এক হাজারেরও বেশী জাত বিভিন্ন বায়োটিক এবং এবায়োটিক ফ্যাক্টরের বিপরীতে মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং এখান থেকে ৬২ টি স্থানীয় জাত সংকরায়ন এর মাধ্যমে নতুন জাত উদ্ভাবন প্রোগ্রামে ব্যবহৃত হয়েছে।
৫. প্রায় ১৬১০ (এক হাজার ছয়শত দশ) টি বিদেশী (exotic) ধানের জাত সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা হয়েছে।
৬. প্রায় ৯০টিরও অধিক বন্য (wild) ধানের জার্মপ্লাজম ব্রি তে এক্স সিটু ফিল্ড জীনব্যাংক হিসেবে সংরক্ষিত আছে।
৭. ব্রি সদর দপ্তরে ২৭০ টি দেশী ধানের জাত সংকরায়ন প্রোগ্রামে প্যারেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং ১২ টি আধুনিক ধানের জাত, দেশী জাতকে প্যারেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে উদ্ভাবিত হয়েছে (বিআর৩, বিআর২২, বিআর২৩, বিআর২৫, ব্রিধান৩১, ব্রিধান৩৭, ব্রিধান৩৮, ব্রিধান৪৬, ব্রিধান৪৭, ব্রিধান৫৫, ব্রিধান৬২ও এর মধ্যে বিআর৫ এবং ব্রিধান৩৪ দেশী ধানের জাত থেকে সরাসরি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়েছে)।
৮. এ পর্যন্ত প্রায় ১২০০ ধানের জার্মপ্লাজম SSR Marker দ্বারা মলিকুলার লেভেলে বৈশিষ্ট্যায়ন করা হয়েছে।
৯. এফএও এর গ্লোবাল প্লান অফ একশন’২০২০ এ ব্রি জার্মপ্লাজমএর সকল তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
১০.এফএও এর ইন্টারন্যাশনাল ট্রীটি অন প্লান্ট জেনেটিক রিসোর্সেস ফর ফুড এন্ড এগ্রিকালচার এর ১৭ নং আর্টিক্যাল অনুসারে গ্লোবাল ইনফরমেশন সিস্টেমে ৭০টি জার্মপ্লাজম ডিওআই নম্বর সহযোগে রেজিস্ট্রেশন করে ব্রি জীনব্যংক সমগ্র বাংলাদেশে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে ।
১১.জিআরএস বিভাগের মাধ্যমে একটি টেকসই ধানবীজ নেট ওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে যা বিভিন্ন বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ভিত্তি বীজ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখছে।
১২.প্রতিবছর প্রায় একশত টনের অধিক ব্রি উদ্ভাবিত জাত সমূহের ব্রিডার বীজ বিএডিসিসহ প্রায় ৯০০ সীডনেট পার্টনারকে সরবরাহ করা হয়। আর এভাবেই এই বিভাগ সরাসরি ক্ষুধা মুক্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ভুমিকা রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে সহায়তা করছে।
১। হাইব্রিড রাইস বিভাগ এই পর্যন্ত ৭টি হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে যা প্রচলিত উফশী জাতের চেয়ে ১৫-২০ ভাগ ফলন বেশী দিতে সক্ষম।
২। এর মধ্যে ৪টি বোরো মওসুমের, ২টি আমন মওসুমের এবং ০১টি আউশ মওসুমের।
৩। অবমুক্ত জাতসমূহের সঠিক বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
৪। দেশীয় আবহাওয়ায় খাপ খাওয়াতে সক্ষম এ রকম ৪০টি মাতৃ সারি উদ্ভাবন যা আমন, বোরো ও আউশ মওসুমে ব্যবহার করা যায়।
৫। ব্রি উদ্ভাবিত অগ্রগামী উফশী সারি থেকে ১০টি পিতৃ সারি সনাক্তকরণ।
৬। পিতৃ সারি পিতৃ সারি সংকরায়নের মাধ্যমে ৪০টি নতুন গুনাবলী সম্পন্ন পিতৃ সারি উদ্ভাবন।
৭। উর্বরতা সংরক্ষক সারি ও উর্বরতা সংরক্ষক সারির মধ্যে সংকরায়নের মাধ্যমে ৩০টি নতুন গুনাবলী সম্পন্ন উর্বরতা সংরক্ষক সারি উদ্ভাবন।
৮। ব্রি অবমুক্তকৃত হাইব্রিড ধানের জাতসমূহের বীজ উৎপাদনের জন্য সঠিক সারির অনুপাত ও জিএ৩ ব্যবহারের পরিমান নির্ধারণ।
৯। প্রতি বছর বোরো মওসুমে ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ধান জাতের প্রায় ১০ টন হাইব্রিড ও পিতৃ ওমাতৃ সারির বীজ বিনামূল্যে সরকারী, বেসরকারী ও কৃষকদের মাঝে বিতরন।
১০। কৃষি সম্প্রসারণবিদ, এনজিও কর্মকর্তা ও কৃষকদেরকে হাইব্রিড ধানের চাষাবাদ ও বীজ উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান।
১১। বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন এবং অবমুক্ত জাতসমূহের লিফলেট ও বুলেটিন প্রকাশ।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ
১. ব্রি উদ্ভাবিত ধানের বিভিন্ন জাতের ফলন দেয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী সারের মাত্রা সুপারিশ।
২. কিস্তি ভিত্তিতে দানাদার ইউরিয়া সারের প্রয়োগ।
৩. ক্লোরোফিল মিটার (SPAD meter) ও লিফ কালার চার্ট (LCC) ব্যবহার করে কৃষকের চেয়ে কম পরিমাণ নাইট্রোজেন সার ব্যবহার করে ধানের অধিক ফলন অর্জন।
৪. সেচকৃত ধানের জমিতে গন্ধক ও দস্তার অভাবজনিত সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও এই সমস্যা সমাধানের জন্য উপযুক্ত সারের মাত্রা নির্ধারণ।
৫. ধৈঞ্চা-হালকা বুনটের মাটির জন্য নাইট্রোজেন সারের বিকল্প উৎস হিসেবে সুপারিশ।
৬. এ্যাজোলাঃ ধানী জমিতে জৈব ও নাইট্রোজেন সারের পরিপূরক ।
৭. ধান চাষে মুরগির বিষ্ঠাকে জৈব পদার্থ এবং উদ্ভিদের খাদ্যোপাদানের উৎকৃষ্ট উৎস হিসেবে চিহ্নিতকরণ। মুরগির বিষ্ঠাকে টিএসপি সারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ।
৮. কৃষকের জন্য মাটির স্বাস্থ্য কার্ড তৈরী।
৯. রাসায়নিক সার ও জৈবসার (ফসলের অবশিষ্টাংশ/গোবর/সবুজ সার, ইত্যাদি) ব্যবহারের মাধ্যমে শস্যক্রম- ভিত্তিক সমন্বিত সার ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
১০. বাংলাদেশের বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের (AEZ) উপযোগী ১৪টি ধান ভিত্তিক শস্যক্রমের জন্য সার ব্যবস্থাপনার সুপারিশ।
১১. সবের্বাচ্চ ফলন পাওয়ার জন্য এলাকা ভিত্তিক ধান-ধান এবং ধান-গম শস্যক্রমে উদ্ভিদ ও মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সার প্রয়োগের সুপারিশ।
১২. জোঁয়ার ভাটা প্রবণ এলাকায় ধান চাষে নাইট্রোজেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও অপচয় কমাতে গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ প্রযুক্তির উদ্ভাবন।
১৩. ড্রাম সীডার পদ্ধতিতে ধান চাষে গুটি ইউরিয়ার সার ব্যবহার প্রযুক্তির উদ্ভাবন।
১৪. আধুনিক ধান উৎপাদনে অধিক মাত্রায় পটাশ সার ব্যবহারের সুপারিশ।
১৫. ধান চাষে পটাশ সারের বিকল্প হিসেবে ধানের খড় ব্যবহারের সুপারিশ।
১৬. লবণাক্ত জমিতে পটাশিয়াম সার ব্যবহার করে ধান ফসল উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্ভাবন।
১৭. লবণক্ত এলাকায় ধান চাষে সমন্বিত সার ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির উদ্ভাবন।
১৮. লবণক্ত এলাকায় ডিবলিং পদ্ধতিতে আউশ ধান চাষ প্রযুক্তির উদ্ভাবন।
১৯. এডাব্লিউডি (AWD) পদ্ধতিতে ধান চাষ, ধান গাছে আর্সেনিকের মাত্রা কমায়।
২০. ব্রি ধান৪৭ এবং ব্রি ধান৫০ আর্সেনিক সহনশীল জাত হিসেবে চিহ্নিত করণ।
২১. মিহি ও মধ্যম মিহি বুনটের (Fine and medium fine textured) মাটিকে কাদাময় না করে ন্যুনতম চাষ দিয়ে ধান উৎপাদনের পদ্ধতির উদ্ভাবন।
২২. ব্রি, বায়োঅর্গানিক সার হেক্টর প্রতি ২ টন ব্যবহারে পুরো টিএসপি ও শতকরা ৩০ ভাগ নাইট্রোজেন সার আশ্রয় করা ছাড়াও ধানের ভাল ফলন ও মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
২৩. মাটির পরীক্ষার ভিত্তিতে বাসায়নিক সারের সাথে ১ টন/হেক্টর ভার্মিকম্পোস্ট ব্যবহারে ধানের ভাল ফলন পাওয়ার পাশাপাশি মাটির স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
২৪. এডাব্লিউডি (AWD) পদ্ধতিতে ধান চাষে শতকরা ৩৫ ভাগ বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানো যায়। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে ধান চাষ অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভজনক।
উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগের সার্বিক অর্জনসমূহকে ৪টি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে
(১) অগ্রগামী কৌলিক সারির শারীরতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যায়নের মাধ্যমে পীড়ন সহনশীল জাত উন্নয়নে সহায়তা
(২)ভবিষ্যতে জাত উন্নয়নের নিমিত্তে নতুন ডোনার প্যারেন্ট সনাক্তকরণ এবং পীড়ন সহনশীলতার কৌশল জানার জন্য ধানের জার্মপ্লাজমসমূহের বৈশিষ্ট্যায়ন
(৩) কৃষকদের জন্য ফসল ব্যবস্থাপনা সমপর্কিত প্রযুক্তি উদ্ভাবন
(৪) ধানের শারীর তাত্ত্বিক তথ্য বা জ্ঞান উদ্ভাবন করা।
(১) অগ্রগামি কৌলিক সারির শারীরতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যায়নের মাধ্যমে পীড়ন সহনশীল জাত উন্নয়নে সহায়তা
(ক) অনুমোদিত অবমুক্ত পীড়ন সহনশীল জাতসমূহঃ-
অগ্রগামী কৌলিক সারি সনাক্তকরণ |
পীড়ন পরিবেশ |
পীড়ন মাত্রা |
বৈশিষ্ট্যায়নের বছর |
অবমুক্ত জাত সমূহের নাম |
অবমুক্তির বছর |
মন্তব্য |
বিআর৬৮৪-৩বি-১২ |
খরা |
৩সপ্তাহ |
২০১৬-২০১৭ |
ব্রিধান৮৩ |
2017 |
চারা অবস্থায় খরা সহনশীল। |
আই আর ৭৭০৯২-২আর-বি-১০ |
লবণাক্ততা ও ও জলমগ্নতা |
৬-৯ ডিএস/ মিটার লবণাক্ততা ও ১২ দিন ৭০ সেমি জলমগ্নতা |
২০১৫-২০১৬ |
ব্রিধান৭৮ |
২০১৬ |
জোয়ার ভাটা অঞ্চলের জন্য উপযোগী |
আইআর৭৮৭৬১-বি-এসএটিবি১-২৮-৩-২৪ |
লবণাক্ততা |
৮ডিএস/ মিটার |
২০১৪-১৫ |
ব্রিধান৭৩ |
২০১৫ |
আমন মৌসুমে সম্পূর্ন জীবনকাল ৮ডিএস/ মিটার মাত্রার লবণাক্ততা সহনশীল। |
আই আর ৮২৫৮৯-বি-বি-৮৪-৩ |
খরা |
৩সপ্তাহ |
২০১৪-১৫ |
ব্রিধান৭১ |
২০১৫ |
প্রজনন পর্যায়ে খরা সহনশীল। |
বিআর৭১০০-৬-৬ |
লবণাক্ততা |
৮ডিএস/ মিটার |
২০১৩-১৪ |
ব্রিধান৬৭ |
২০১৪ |
বেরো মৌসুমে প্রজনন পর্যায়ে৮ডিএস/ মিটার মাত্রার লবণাক্ততা সহনশীল। |
আইআর৮২৬৩৫-বি-বি-৭৫-২ |
খরা |
৩সপ্তাহ |
২০১২-১৩ |
ব্রিধান৬৬ |
২০১৪ |
প্রজনন পর্যায়ে ৩সপ্তাহ পর্যন্ত খরা সহনশীল। |
আইআর৭৪৩৭১-৭০-১-১ |
খরা |
১৪-২১দিন |
২০০৯-১০ |
ব্রিধান৫৬ |
২০১১ |
প্রজনন পর্যায়ে ১৪-২১ দিন পর্যন্ত খরা সহনশীল। |
বিআর৭৮৭৩-৫(NIL)-৫১-এইচআর৬ |
খরা |
১০-১৪দিন |
২০০৯-১০ |
ব্রিধান৫৭ |
২০১১ |
স্বল্প জীবনকালের জন্য খরা পরিহার করতে পারে। |
বিআর৫৭৭৮-১৫৬-১-৩-এইচআর১৪ |
লবণাক্ততা |
৮-১০ ডিএস/ মিটার |
২০০৭-০৮ |
ব্রিধান৫৩ |
২০১০ |
জীবনকালের শেষ পর্যায়ে লবণাক্ততা সহনশীল। |
বিআর৫৯৯৯-৮২-৩-২- এইচআর১ |
লবণাক্ততা |
৮-১০ ডিএস/ মিটার |
২০০৭-০৮ |
ব্রিধান৫৪ |
২০১০ |
জীবনকালের শেষ পর্যায়ে লবণাক্ততা সহনশীল। |
আইআর৬৩৩০৭-৪বি-৪-৩ |
লবণাক্ততা |
৬ডিএস/ মিটারসম্পুর্নজীবনকাল |
২০০৫-০৬ |
ব্রিধান৪৭ |
২০০৭ |
দক্ষিনাঞ্চলে বিশেষকরে বরিশালে এটি বেশ জনপ্রিয় ধানের জাত। |
বিআর৫৩৩১-৯৩-২-৮-৩ |
লবণাক্ততা |
৮-১০ডিএস/ মিটার |
২০০৩ |
ব্রিধান৪০ |
২০০৩ |
আমন মৌসুমে জীবনকালের শেষ পর্যায়ে লবণাক্ততা সহনশীল। |
(খ) প্রস্তাবিত নতুন জাত উদ্ভাবনে বৈশিষ্ট্যায়িত কৌলিক সারিসমূহঃ
কৌলিকসারিএবংজার্মপ্লাজমসনাক্তকরণ |
পীড়ন পরিবেশ |
পীড়ন মাত্রা |
বৈশিষ্ট্যায়নের বছর |
অবমুক্ত জাত সমূহের নাম |
অবমুক্তির বছর |
মন্তব্য |
আইআর৭৮৭৬১-বি-এসএটিবি১-২৮-৩-২৬ |
লবণাক্ততা |
৯ ডিএস/ মিটার |
২০১৪-১৫ |
প্রস্তাবিত জাত |
আসন্ন |
আমন মৌসুমে সম্পূর্ন জীবনকাল ৯ডিএস/মিটার মাত্রার লবণাক্ততা সহনশীল |
আইআর৫৯৪১৮-৭বি-২১-৩ |
লবণাক্ততা |
৮ ডিএস/ মিটার |
২০১৩-১৪ |
প্রস্তাবিতজাত |
আসন্ন |
বোরো মৌসুমে প্রজনন পর্যায়ে ৮ডিএস/মিটার মাত্রার লবণাক্ততা সহনশীল। |
আইআর৭৭৪৯-৩১-২-১-৩-১ |
ঠান্ডা |
চারা অবস্থায় ১০-১৩ ডিগ্রী সে. এবং প্রজনন পর্যায়ে ১৫ ডিগ্রী সে. |
২০১২-১৪ |
প্রস্তাবিতজাত |
আসন্ন |
দক্ষিনাঞ্চলের জন্য ঠান্ডা সহনশীল |
আইআর২২৬৬-৪২-৬-২ |
ঠান্ডা |
চারা অবস্থায় |
২০১২-১৪ |
প্রস্তাবিতজাত |
আসন্ন |
দক্ষিনাঞ্চলের জন্য ঠান্ডা সহনশীল |
টিপি১৬১৯৯ |
ঠান্ডা |
এই সারিটি আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষা পর্যায়েআছে। |
||||
টিপি৭৫৯৪ |
ঠান্ডা |
এই সারিটি আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষা পর্যায়েআছে। |
||||
উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল জাত উদ্ভাবনের জন্য ব্রিধান২৮ ও ব্রিধান২৯এ দুইটি স্পাইকলেট ফারটিলিটি QTL (qSF 4.1 এবং qSF 4.2) ইন্ট্রোগ্রেস করা হয়েছে |
তাপ |
এই সারিগুলো বর্তমানে Marker Assisted Selection এর মাধ্যমে BC3 পর্যায়ে আছে। |
(২) ভবিষ্যতে জাত উন্নয়নের নিমিত্তে নতুন ডোনার প্যারেন্ট সনাক্তকরন এবং পীড়ন সহনশীলতার কৌশল জানার জন্য ধানের জার্মপ্লাজমসমূহের বৈশিষ্ট্যায়ন : ইতোমধ্যে প্রায় ১০০০ জার্মপ্লাজমের বেশি বিভিন্ন বিরূপ পরিবেশে যাচাই করা হয়েছে এবং নিম্নেউল্লেখিত জার্মপ্লাজমসমূহ ডোনারপ্যারেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এক্সেশন |
পীড়ন পরিবেশ |
পীড়নমাত্রা |
মন্তব্য |
ব্রি এক্সেশন নাম্বার -১৮৩৮ |
জলমগ্নতা |
১৪দিন |
দুই সপ্তাহ পর্যন্ত পানিতে সম্পূর্ন নিমজ্জিত অবস্থায় থাকতে পারে। |
ব্রিএক্সেশন নাম্বার - ৪০৯৬ |
জলমগ্নতা |
১৪দিন |
দুই সপ্তাহ পর্যন্ত পানিতে সম্পূর্ন নিমজ্জিত অবস্থায় থাকতে পারে। |
ব্রি এক্সেশন নাম্বার- ৯৭, ১০২ এবং১৩৩ |
তাপ |
ফুল ফোটার সময় ৭দিন পর্যন্ত ৩৫০-৩৮০ সেলসিয়াস |
ফুল আসা পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল। |
কালোজমা |
জলমগ্নতা |
১৬দিন |
ষোল দিন পর্যন্ত পানিতে সম্পূর্ন নিমজ্জিত অবস্থায় থাকতে পারে। |
ডিজিআই-৩৪৯ |
জলমগ্নতা |
১৬দিন |
ষোল দিন পর্যন্ত পানিতে সম্পূর্ন নিমজ্জিত অবস্থায় থাকতে পারে। |
ডিজিআই-৩৪৯ |
জলমগ্নতা |
১৬দিন |
ষোল দিন পর্যন্ত পানিতে সম্পূর্ন নিমজ্জিত অবস্থায় থাকতে পারে। |
ভূটানী ধান |
ঠান্ডা |
সমগ্র জীবনকালে ঠান্ডা সহিষ্ঞু হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে |
ঠান্ডা সহিষ্ঞু জাত উদ্ভাবনে ডোনার প্যারেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে |
মিনআশাহী |
ঠান্ডা |
সমগ্র জীবনকালে ঠান্ডা সহিষ্ঞু হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে |
ঠান্ডা সহিষ্ঞু জাত উদ্ভাবনে ডোনার প্যারেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে |
(৩) কৃষকদেরজন্যফসলব্যবস্থাপনা সমপর্কিতপ্রযুক্তিউদ্ভাবন
প্রযুক্তিরনাম |
বিবরণ |
মন্তব্য |
বোরো মৌসুমে তীব্র শীতে সুস্থ সবল চারা উৎপাদন কৌশল |
( ১)বোরো ধানে চারা উৎপাদনের সময় শৈত্য প্রবাহ হলে অর্থ্যাৎ তাপমাত্রা ১০ডিগ্রির নীচে চলে গেলে বীজতলা সাদা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। দিনের বেলায় সূর্য উঠার ৪-৬ ঘন্টা পর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং সূর্য অস্ত যাবার পূর্বেই পলিথিন সরিয়ে রাখতে হবে। |
এই প্রযুক্তি মূলতঃ ভেজা বীজতলার জন্য এবং যেসব এলাকায় বোরো মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তীব্র ঠান্ডা থাকে সেসব এলাকার জন্য প্রযোজ্য। |
হাওড় অঞ্চলে বোরো ধানের চিটা সমস্যা মোকাবেলার কৌশল |
বোরো মৌসুমে হাওড় অঞ্চলে স্বল্প জীবন কালের জাত সমূহকে ১৫নভেম্বর বা তারও পরে বপন ও ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের মাধ্যমে কাইচ থোড় ও থোড় অবস্থায় নিম্ন তাপমাত্রা জনিত ক্ষতি এড়ানো যায় এবং চিটা সমস্যা মোকাবেলা করা যায়। |
হাওড়এলাকারজন্য |
হাওড় অঞ্চলে বোরো ধান চাষে পাহাড়ি ঢল এড়ানো/ মোকাবেলার কৌশল |
বোরো মৌসুমে হাওড় অঞ্চলে দীর্ঘ জীবনকালের জাতসমূহকে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বপন ও ৪০-৪৫ দিন বয়সে রোপণের মাধ্যমে কর্তনকালীন সময়ে পাহাড়ি ঢল এড়ানো যায়। |
হাওড়এলাকারজন্য |
বোরো ধান চাষে উচ্চ তাপমাত্রাজনিত চিটা সমস্যা মোকাবেলার কৌশল |
বোরো মৌসুমে দীর্ঘ জীবনকালের জাতসমূহকে নভেম্বর মাসের প্রথম-দ্বিতীয় সপ্তাহে বপন ও ৪০-৪৫ দিন বয়সে রোপণের মাধ্যমে ফুল-ফোটাকালীন সময়ে উচ্চ তাপমাত্রাজনিত চিটা সমস্যা এড়ানো যায়। তবে ধানের ফুল-ফোটাকালীন সময়ে উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করলে জমিতে দাড়ানো পানি ধরে রাখার মাধ্যমে অথবা পানি স্প্রে করে উচ্চ তাপমাত্রা জনিত চিটা সমস্যা মোকাবেলা করা যায়। |
এপ্রিলের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে উচ্চ তাপমাত্রায় ঝুকিপূর্ন অঞ্চলের জন্য |
বন্যা পরবর্তী রোপা আমন ধানের সার ব্যবস্থাপনা |
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রোপা আমন ধানের জমিতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর ইউরিয়া সারের ২য় কিস্তি ও পটাশ সারের সম্পূর্ন পরিমাণ প্রয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত চারার দ্রুত পূনর্বাসন ও কুশির বৃদ্ধি ভালো হয়। |
আকস্মিকবন্যাপ্রবনএলাকারজন্য |
ব্রিধান৩২ এর হেলে পড়া প্রতিরোধ কৌশল |
ব্রিধান৩২ এর হেলে পড়া প্রবণতা থাকায় পরিমিত পরিমানে সার প্রয়োগের পাশাপাশি কাইচথোর আসার সময় Multi-effect-Triazole (MET) ৩০০মিলিগ্রাম/লিঃ স্প্রে করে ব্রিধান৩২ এর হেলে পড়া প্রবণতা প্রতিরোধ করা যায়। |
|
ড্রাম সিডার দিয়ে সরাসরি বীজ বপনের মাধ্যমে ধানের জীবনকাল কমে ও ফলনবাড়ে |
ড্রাম সিডার দিয়ে সরাসরি বীজ বপনের মাধ্যমে ধান চাষ করলে রোপণ পদ্ধতির তুলনায় প্রায় ৭% ফলন বৃদ্ধি পায় এবং একই সাথে ধানের জীবনকাল প্রায় ১০ দিন কমে যায়। |
|
ধান-এজোলা দ্বৈত চাষ |
ধান-এজোলা (Azolla) দ্বৈত ভাবে চাষ (dual culture) করলে ধানের ফলন বৃদ্ধি পায়। |
(৪) ধানের শারীরতাত্ত্বিক তথ্য বা জ্ঞান উদ্ভাবন করা
বিষয় |
জ্ঞানঅথবাতথ্যের উদ্ভাবন |
বাংলাদেশের লবণাক্ত সহিষ্ণু বৈলাম ধানের চারা ও প্রজনন পর্যায়ের লবণসহিষ্ণু জিনগুচ্ছের মানচিত্র তৈরী (QTL Mapping) |
লবণাক্ত সহিষ্ণু বাংলাদেশী স্থানীয় জাত বৈলাম ধানের চারা ও প্রজনন পর্যায়ের লবণসহিষ্ণু QTL চিহ্নিত করতে উক্ত জাতের জেনোটিকম্যাপ তৈরী করা হয়েছে। চারা অবস্থায় সম্ভাব্য ৬টি QTL এবং প্রজনন পর্যায়ে ৬টি QTL Cluster বিভিন্ন লিঙ্কেজ গ্রুপে (ক্রোমোজোম) সনাক্ত করা হয়েছে। |
বাংলাদেশের লবণাক্ত সহিষ্ণু হরকুচ ধানেরচারা ও প্রজননপর্যায়েরলবণসহিষ্ণুজিনগুচ্ছেরমানচিত্রতৈরী (QTL Mapping) |
লবণাক্তসহিষ্ণু বাংলাদেশী স্থানীয় জাত হরকুচ এর শারীরতাত্তিক কৌশল বের করা হয়েছে এবং চারা পর্যায়ে লবণ সহিষ্ণু জিনগুচ্ছ (QTL) চিহ্নিত করতে উক্ত জাতের জেনোটিকম্যাপ তৈরী করা হয়েছে। হরকুচে টিস্যু টলারেন্স এবং উচ্চ পটাশিয়াম আয়ন গ্রহণ এই দুইটি শারীরতাত্ত্বিক কৌশল রয়েছে। হরকুচে চিহ্নিত ২৪টি জিনগুচ্ছ (QTL) সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ৪টি জিনগুচ্ছ (QTL) (ক্রোমোজোম -৮, ১১ এবং ১২ তে অবস্থিত) চারার কান্ডে K+/Na+ এর অনুপাত নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে লবণ সহিষ্ণুতায় ভূমিকা রাখে |
আলোক সংবেদনশীলতা |
ব্রিধান৫৪ আলোক সংবেদনশীল জাত এবং আলোক সংবেদনীলতা প্রায় নাইজারশাইলের মত। |
ঠান্ডা জনিত ক্ষতি পরিহার |
ধানের প্রজনন পর্যায়ে ঠান্ডার ক্ষতি এড়ানোর জন্য অক্টোবর মাসে বীজ বপন করা যাবে না। ব্রিধান২৮ এর মত স্বল্প জীবনকালের জাতের ক্ষেত্রে 20 নভেম্বরের পর পরই এবং ব্রিধান২9 এর মত লম্বা জীবনকালের জাতের ক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বীজ বপন করে 40-৪৫ দিনের ধানের চারা রোপন করতে হবে। |
বপনের সময় সমপর্কিত |
অক্টোবর মাসে বীজ বপন থেকে নভেম্বর মাসে বীজ বপন করলে ধানের ভাল ফলন পাওয়া যায়। নভেম্বর মাসে বীজ বপন করলে স্বল্প জীবন কালের ধান ব্রিধান২৮ এর সর্বোচ্চ ৫০দিনের ও লম্বা জীবন কালের ধান ব্রিধান-২৯ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ৬৫ দিনের চারা রোপণ করেও ভাল ফলন পাওয়া যায়। |
বোরো মৌসুমের জন্য সংকট তাপমাত্রা |
বোরো ধান কাইচথোড় এবং থোড় অবস্থায় নিম্ন তাপমাত্রা সংবেদনশীল। বোরো ধানে চিটা হওয়ার জন্য Agronomic PI ও Booting এ প্রযোজ্য সংকট নিম্ন তাপমাত্রা হলো ১২-১৩০C, সংকট উচ্চ তাপমাত্রা হলো ২৮-২৯০C। সংকট তাপমাত্রা এর নীচে বা উপরের তাপমাত্রায় ফলন কমে যায়। |
জলমগ্নতা সহনশীল |
ব্রি’র রোপা আমন জাত বিআর-১১, ব্রিধান৩০, ব্রিধান৩১, ব্রিধান৩২ এর মধ্যে ব্রিধান৩২ এর বন্যা সহিষ্ণুতা সবচেয়ে বেশী। |
আকস্মিক বন্যা |
অধিক আলোক সংবেদী জাতসমূহ আকস্মিক বন্যায় বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। |
প্রস্বেদন |
প্রস্বেদনের হার কুশি পর্যায়ের চেয়ে ফুল আসা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশী। |
ফলনের সাথে হারভেষ্ট ইনডেক্স এবং বায়োমাসের সম্পর্ক |
(১)ধানের ফলনের সাথে তার হারভেস্ট ইনডেক্স (HI) এবং বায়োমাস (Biomass production) এর সর্ম্পক বিদ্যমান (২)নাবি আমনে বায়োমাস (Biomass production) এর চেয়ে হারভেস্ট ইনডেক্স (HI) ধানের উচ্চফলনে বেশী অবদান রাখে। |
পাতার আয়তন |
ধান গাছের LAI কম হওয়া এর উচ্চ ফলনের জন্য অন্তরায়। |
কার্বোহাইড্রেট রিজার্ভ |
ধানে কার্বোহাইড্রেট রির্জাভের জন্য ধান গাছের কান্ড সবচেয়ে বেশী অবদান রাখে। |
মূল বৃদ্ধির যাচাই প্রক্রিয়া |
উদ্ভিদের গৌনপুষ্টি উপাদান Fe, 26 ppm মাত্রায় প্রয়োগ করলে ধান গাছের মূলের বৃদ্ধি বাধা গ্রস্তহয়। |
পানিরস্বল্পতা |
কুশি পর্যায়ের প্রথমদিকে পানির অভাব (Drought stress) হলে ফলনের তেমন পার্থক্য হয়না। কিন্তু Booting stage এ পানির অভাব (Drought stress) হলেইন্টার নোডের বৃদ্ধি ব্যহত হয়, ধানের স্পাইকলেট মরে যায় ও চিটার পরিমাণ বেড়ে যায়। |
বোরো মৌসুমে চারার পুর্নবাসনের সময় কাল |
বোরো মৌসুমে জানুয়ারি মাসে রোপণকৃত চারায় পুর্নবাসন (Recovery) হতে ৪ (চার) সপ্তাহ সময় লাগে।বোরো মৌসুমের রোপণকৃত ধানের জীবনকাল বপনকৃত ধানের চেয়ে বেশী। |
আমন মৌসুমে ধানের ফলন ও তাপমাত্রার সম্পর্ক |
(১)রোপা আমন মৌসুমে প্রজনন পর্যায়ে নিম্ন তাপমাত্রা ২২০C হলে ফলন ভাল হয় কিন্তু নিম্ন তাপমাত্রা ২০০C নিচে গেলে ফলন ত্যাধিক হারে কমতে থাকে। (২)আগষ্ট মাসে চারা রোপণ (Transplanting) ও সারিতে বপন (Line sowing) করে ধান চাষ করলে একই ফলন দেয় কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে রোপণ পদ্ধতিতে (Transplanting) সারিতে বপনের চেয়ে বেশী ফলন পাওয়া যায়। |
ক্রপ মডেলিং |
ব্রিউদ্ভাবিত বিভিন্ন ধানের জাতের জেনোটিক কোইফিসিয়েন্ট ডাটা ব্রি’র ক্রপমডেলিং এর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। |
আবহাওয়াকেন্দ্র |
(১)উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগ Manual Weather Station ব্রি প্রধান কার্যালয় ও ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের (কুমিল্লা, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী, ভাঙ্গা ও হবিগঞ্জ) আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষন করে থাকে যাহা ব্রি’র বিভিন্ন গবেষণা বিভাগ কর্তৃক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। (২)উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগ ৬টি Automatic Weather Stations (ব্রি প্রধান কার্যালয় ও ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের (রংপুর, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল ও ভাঙ্গা) এর মাধ্যমে বিগত ২০১২ সাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছে যাহা ব্রি’র বিভিন্ন গবেষণা বিভাগ কতৃক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। |
|
|
BRRI statisticians developed optimum plot size and shape of experimental plots, optimum size for number of replications and optimum size of harvest area for experimental plot, optimum plot size for estimating yield of deep water rice and sampling plan for field experiments with rice and developed sampling techniques for diseases assessment in rice fields in collaboration with plant pathologists and prepared sampling techniques for estimating yield and yield components. They invented stability model, producer and consumer preference model for BRRI varieties and econometric model for rice area production and identified the probability of low temperature stress at different growth stages of Boro rice. They published a book specially prepared for biological scientists titled “Simple Lesson from Biometry”. They find out the effect of missing hills on yield and determine optimum sample size for estimating biometric characters of Broadcast Aus rice. They improved prediction model for forecasting rainfed rice yield based on climatic variables and crop cut method (field plot technique) for estimating rice area and production also. They made software for cropping pattern survey in all upazilla of Bangladesh. In collaboration with soil science division this division estimated the spatial variability of areas in soils in arsenic contaminated shallow tube well command areas used for irrigated wetland rice cultivation. Now they enriched about 300 digital maps by self prepared and collection from other sources. Some GIS based maps are:
ICT Cell :
1. BRRI has developed dynamic Mobile apps “Rice Knowledge Bank (RKB)”; hosting at Google Play Store & download from here.
2. e-File (Nothi) Management System introduced at BRRI for Starting and issueing various file and official letter through e-Filing (Nothi) system.
3. BRRI introduced e-GP and BRRI is incorporated with it as a first organization among the NARS institute and also a first organization under Ministry of Agriculture (MoA).
4. BRRI has Awarded National ICT Award-2016 at Digital World 2016 for ICT Excellence through Innovative Service Delivery.
5. BRRI dynamic website (www.knowlwdgebank-brri.org) has been maintained regularly by own technical assistance of ICT Cell and updated with latest information of Aman, Aus & Boro Rice varieties.
6. BRRI dynamic website (www.brri.gov.bd) has been made and maintained by own technical assistance of ICT Cell.
7. As an initiative of ICT Cell, Digital Signature Certificate has been provided by Controller of Certified Authority (CCA) under Information & Communication Technology (ICT) Division to 116 scientist and officer including DG, Director (Admin & CS) and Director (Research) of BRRI.
8. BRRI has made the web portal (www.portal.gov.bd) with both Bengali and English language. It is the largest web portal in the world and BRRI is incorporated with it as a first organization among the NARS institute.
9. ICT Cell has created own web mail ID and group mail ID for all scientists/officers and web hosting of BRRI webmail was also completed into Bangladesh Computer Council (BCC) data centre.
10. Local Area Network (LAN) has established and maintained for all scientists/officers of BRRI. Internet connectivity was established at BRRI server room from BTCL through optical fiber and provided internet connection to all scientists and officers by own server of BRRI. Already it has increased bandwidth connectivity from 40 to 51 mbps through optical fiber network from BTCL.
11. Established Local Area Network (LAN) connectivity at five regional stations i.e. Rangpur, Barisal, Sonagazi, Comilla and Habigonj.
12. BRRI has made their own facebook group “BRRI Networks” and included scientists and officers into this group. “BRRI Networks” also linked with the facebook group “Krishi Bhabna” of Ministry of Agriculture (MoA), “Public Service Innovation” and “National Portal Framework” of A2i under Prime Minister’s Office (PMO). It has maintained by ICT Cell. After scrutiny of all post, then it has published into the facebook group of “BRRI Networks”. Already 299 members are joining this group.
13. Personal Data Sheet (PDS) of all scientists, officers and stuff’s has made and stored into BARC Data centre. It is showing into BRRI web portal now.
14. Skype account has provided to all divisional, regional and section head of BRRI for research activities and video conferencing. All Skype account has maintained by ICT Cell.
15. Management Information System (MIS) software has established into BRRI server with 09 (Nine) module and training has also provided to all related scientists, officers and stuff’s by assisting of NATP: Phase 1 project. Training activities is continuing and data entry of 07 (Seven) module has already completed.
16. Computer software has developed to prepare telephone bills for BRRI officers.
17. Software has developed for the management of BRRI labours named Labour Management Information System.
Farm Management Division
Farm Management Division was established at the very beginning of BRRI at Joydebpur in 1970. This division is one of the research units of Socio-Economic Program Area and carried out research in addition to its management and support service activities such as labor wage rate, cost and return of HYV rice cultivation at present situation, dfferent weed control methods and economics, seed production of HYV rice for dissemination of variety, land and labor management and formulation it’s policy for smooth running of BRRI research. The major successful research findings of this division are: