ব্রি প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্নে ১৯৭০ সালের ০১ অক্টোবর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকেই এই বিভাগের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ধানের জাত উদ্ভাবন যা অনুকূল কৃষি পরিবেশে আবাদ করা যেতে পারে, সাথে সাথে এমন আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন যা বিভিন্ন অজৈব ঘাত যেমন, পুষ্টি উপাদানের অভাব বা বিষক্রিয়া, বন্যা, লবণাক্ততা, খরা, শৈত্যপ্রবাহ, তাপদাহ, জলাবদ্ধতা, অগভীর বন্যা, ইত্যাদি এবং জৈব ঘাত যেমন রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ সহ্য করে জীবনচক্র পূর্ণ করতে পারে ও উচ্চ ফলন দিতে পারে। এছাড়া, স্বল্প জীবন কালের ধানের জাত যা শস্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে ফসল বৈচিত্র্য আনয়ন করা যেতে পারে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানের উচ্চফলনশীল প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্যের ধানের জাত, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ভিটামিন (জিঙ্ক, আয়রণ, বিটা-ক্যারোটিন) সমৃদ্ধ ধানের জাত এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য (নিম্ন জিআই, এন্টি-অক্সিডেন্ট, গাবা) সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করাও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বহুবিধ গবেষণা কর্মকান্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত একশত একটি ইনব্রেড ও সাতটি হাইব্রীড আধুনিক উফশী ধানের জাত উদ্ভাবনন করেছে যা ব্রি ও জাতীয় বীজ কর্তৃক অবমুক্ত হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে বোরো, আউশ ও আমন মওসুমে কৃষকের মাঠে আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে ব্রি উদ্ভিদ প্রজননবিদগণ প্রচলিত প্রজনন পদ্ধতি এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন মার্কার এ্যাসিস্টেড ব্রীডিংও জীবপ্রযুক্তি সম্বলিত গবেষণা কর্মকান্ডে নিয়োজিত আছেন যার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ফলন ও চা’লের গুণাগুণে উন্নতর মান অর্জন।