Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ মে ২০২১

কৌলিসম্পদ ও বীজ বিভাগের সাফল্য

কৌলিসম্পদ ও বীজ বিভাগ ব্রি’র জাত উদ্ভাবন প্রোগ্রাম এরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিভাগের ম্যান্ডেট হলো ধানের জাত উদ্ভাবন, জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং সীড টেকনোলজি রিসার্চ। জার্মপ্লাজম ম্যানেজমেন্ট এই বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা যেকোনো গবেষণার মূল উপাত্ত। এছাড়াও এই বিভাগ মানসম্মত ব্রিডার বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে ব্রি’র এপিএ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এই বিভাগের উল্লেখযোগ্য অর্জনগূলো নিম্নরুপঃ

১. এই বিভাগ হতে একটি সুগন্ধী ধানের জাত (খাসকানি নামক জার্মপ্লাজম থেকে ব্রি ধান ৩৪) অবমুক্ত করা হয়েছে।
 
২. ২০০৭ সালে দীর্ঘমেয়াদী জিন ব্যাংক (২০০০ সিএফটি ভলিউম) স্থাপন করা হয়। যাতে প্রায় ২,০০০ জার্মপ্লাজম ৫০-১০০ বছর সংরক্ষণ করার সুবিধা রয়েছে। 

৩. জিআরএস বিভাগের জিনব্যাংকে ৮৬০৪ (আট হাজার) এর অধিক জার্মপ্লাজম স্বল্প মেয়াদ, মধ্যম মেয়াদ এবং দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষিত আছে।

৪. এক হাজারেরও বেশী জাত বিভিন্ন বায়োটিক এবং এবায়োটিক ফ্যাক্টরের বিপরীতে মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং এখান থেকে ৬২ টি স্থানীয় জাত সংকরায়ন এর মাধ্যমে নতুন জাত উদ্ভাবন প্রোগ্রামে ব্যবহৃত হয়েছে।

৫. প্রায় ১৬১০ (এক হাজার ছয়শত দশ) টি বিদেশী (exotic) ধানের জাত সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা হয়েছে।

৬. প্রায় ৯০টিরও অধিক বন্য (wild) ধানের জার্মপ্লাজম ব্রি তে এক্স সিটু ফিল্ড জীনব্যাংক হিসেবে সংরক্ষিত আছে।

৭. ব্রি সদর দপ্তরে ২৭০ টি দেশী ধানের জাত সংকরায়ন প্রোগ্রামে প্যারেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং ১২ টি আধুনিক ধানের জাত, দেশী জাতকে প্যারেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে উদ্ভাবিত হয়েছে (বিআর৩, বিআর২২, বিআর২৩, বিআর২৫, ব্রিধান৩১, ব্রিধান৩৭, ব্রিধান৩৮, ব্রিধান৪৬, ব্রিধান৪৭, ব্রিধান৫৫, ব্রিধান৬২ও এর মধ্যে বিআর৫ এবং ব্রিধান৩৪ দেশী ধানের জাত থেকে সরাসরি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়েছে)।

৮. এ পর্যন্ত প্রায় ১২০০ ধানের জার্মপ্লাজম SSR Marker দ্বারা মলিকুলার লেভেলে বৈশিষ্ট্যায়ন করা হয়েছে।

৯. এফএও এর গ্লোবাল প্লান অফ একশন’২০২০ এ ব্রি জার্মপ্লাজমএর সকল তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
 
১০.এফএও এর ইন্টারন্যাশনাল ট্রীটি অন প্লান্ট জেনেটিক রিসোর্সেস ফর ফুড এন্ড এগ্রিকালচার এর ১৭ নং আর্টিক্যাল অনুসারে গ্লোবাল ইনফরমেশন সিস্টেমে ৭০টি জার্মপ্লাজম ডিওআই নম্বর সহযোগে রেজিস্ট্রেশন করে ব্রি জীনব্যংক সমগ্র বাংলাদেশে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে ।
 
১১.জিআরএস বিভাগের মাধ্যমে একটি টেকসই ধানবীজ নেট ওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে যা বিভিন্ন বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ভিত্তি বীজ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখছে।

১২.প্রতিবছর প্রায় একশত টনের অধিক ব্রি উদ্ভাবিত জাত সমূহের ব্রিডার বীজ বিএডিসিসহ প্রায় ৯০০ সীডনেট পার্টনারকে সরবরাহ করা হয়।  আর এভাবেই এই বিভাগ সরাসরি ক্ষুধা মুক্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ভুমিকা রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে সহায়তা করছে।  

১৩. জিআরএস বিভাগের বিজ্ঞানীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০২০ সালের নভেম্বরে Department of Patents, Designs and Trade Marks হতে বাংলাদেশের কালিজিরা এবং কাটারিভোগ ধান যথাক্রমে বাংলাদেশ কালিজিরা এবং দিনাজপুর কাটারিভোগ নামে বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পন্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।